২১ থেকে ২৮ বছর বয়সের মধ্যে আমি নিজে কি উদ্ধার করেছি?

খেলোয়াড়টিরও তা-ই, আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি দেশকে এমন কোনো আনন্দের উপলক্ষ আমি অন্তত এনে দিতে পারিনি। তাহলে কি অধিকারে আমি সেই সব ছেলেদের রক্ত চাইতে পারি, যারা আজ না হোক, কোনো একদিন অন্তত দেশকে আনন্দে ভাসিয়েছে? আমি কি করে সেই সব ছেলেদের কটাক্ষ করতে পারি, যাদের জন্য বিশ্ব আজ এক নামে বাংলাদেশকে চিনে? আপনিও নিজেকে একবার জিজ্ঞেস করে দেখুন।

খেলায় হারজিত থাকবেই, কিন্তু তাই বলে জিতলে আনন্দে আত্মহারা আর হারলে খেলোয়াড়দের মুন্ডুপাত, এই মানসিকতা কি ঠিক? স্বেচ্ছায় কি কেউ হারতে চায়? যেই খেলোয়াড়দের আমরা দু’দিন আগেও বাঘ বলে ডাকছিলাম, আজ দেখি অনেকে তাদের বিড়াল বলছে, আমার প্রশ্ন হলো তাতে নিজের সম্মান কি কিছু বাড়ছে? এরা তো আপনার দলেরই খেলোয়াড়, এদের যখন বিড়াল বলে সম্বোধন করেন, তো আপনি নিজে কি হাতিটা হচ্ছেন?

দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ, দর্শকদের সমর্থন যেমন আছে, আকাশচুম্বী প্রত্যাশার চাপটাও সেরকম আছে। সাউথ আফ্রিকার মতো পেশাদারী মনোভাবের একটা দল যেখানে সাত সমুদ্র দুরের সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপে বার বার ভেঙ্গে পরে, যে জন্য তাদের নামই হয়ে গেছে ‘চোকার’, সেখানে উপলক্ষ বিবেচনায় আমাদের তরুন দলটির কাছে আমাদের প্রত্যাশাটি কি একটু বেশিই হয়ে যায়নি? তারপরও তারা আমাদের যা দিয়েছে, সে জন্য কি তারা আমাদের ধন্যবাদ পেতে পারে না?

Related posts

Leave a Comment